বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এই নীতির আওতায়, বাংলাদেশের যেকোনো ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করেছেন বা এর জন্য দায়ী বলে বিবেচিত হন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এই নীতির মধ্যে রয়েছে:
- বর্তমান এবং সাবেক সরকারী কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলের রাজনীতিক
- নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তি, যেমন নির্বাচন কমিশনের সদস্য, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী প্রচারকারীরা
- নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকারী ব্যক্তি, যেমন নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিরা
এই নীতিটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে এই নীতিটি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও অবাধ ও সুষ্ঠু করে তুলতে সাহায্য করবে।
এই নীতিটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কার্যকর করা হয়। এরপর থেকে, যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই নীতিটি বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের মধ্যে বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এই নীতিটিকে একটি হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। জনগণের মধ্যেও এই নীতির প্রতি সমর্থন এবং বিরোধিতা উভয়ই রয়েছে।
এই নীতিটি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলেছে। এই নীতির কারণে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে।