ভিকটিম ব্লেমিং (Victim Blaming) একটি খুবই জটিল এবং সমাজে প্রচলিত একটি বিষয়। এর অর্থ হল কোনো ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিকে তার নিজের ভুলের জন্য দায়ী করা। যেমন, যৌন হয়রানির শিকার হওয়া একজন মহিলাকে তার পোশাক বা আচরণের জন্য দোষারোপ করা।
কেন ভিকটিম ব্লেমিং হয়?
- সামাজিক নিয়ম: সমাজে প্রচলিত কিছু ধারণা, যেমন মহিলাদের নিজেকে রক্ষা করার দায়িত্ব, পুরুষদের আক্রমণাত্মক হওয়ার স্বাভাবিকতা ইত্যাদি, ভিকটিম ব্লেমিংকে প্রচার করে।
- অজ্ঞতা: অনেকেই যৌন হয়রানি, গৃহিণী নির্যাতন ইত্যাদির সঠিক কারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন।
- ভয়: অনেকে ভয় পান যে, তারাও একই পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। তাই নিজেকে নিরাপদ বোধ করার জন্য তারা শিকারকে দোষারোপ করেন।
- সামাজিক ক্ষমতা: সমাজে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, যেমন পুরুষরা, সাধারণত বেশি ক্ষমতাবান। তাই তারা নিজেদের কর্মের জন্য দায়িত্ব এড়াতে শিকারকে দোষারোপ করতে পারে।
ভিকটিম ব্লেমিং কেন খারাপ?
- শিকারকে আঘাত করে: এটি শিকারকে আরও বেশি কষ্ট দেয় এবং তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে।
- অপরাধীকে উৎসাহিত করে: এটি অপরাধীদেরকে তাদের কর্মের জন্য দায়িত্ব এড়াতে উৎসাহিত করে।
- সমস্যার সমাধানে বাধা দেয়: ভিকটিম ব্লেমিংয়ের কারণে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা কী করতে পারি?
- জ্ঞান অর্জন: যৌন হয়রানি, গৃহিণী নির্যাতন ইত্যাদির কারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
- সহানুভূতি দেখানো: শিকারদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং তাদের সমর্থন করা।
- বক্তব্য দেওয়া: ভিকটিম ব্লেমিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং অন্যদেরকেও সচেতন করা।
- আইন প্রয়োগ: অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা