অংশীদারি ব্যবসায় হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যারা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে একত্রিত হয়ে একটি ব্যবসা পরিচালনা করে। এই ব্যক্তিরা অংশীদার নামে পরিচিত।
অংশীদারি ব্যবসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- অংশীদারদের সংখ্যা: অন্তত দু’জন অংশীদার থাকতে হবে।
- ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য: মুনাফা অর্জনই অংশীদারি ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য।
- অংশীদারদের দায়িত্ব: অংশীদাররা ব্যবসার লাভ ও ঝুঁকি ভাগ করে নেয়।
- ব্যবস্থাপনা: অংশীদাররা নিজেরাই ব্যবসা পরিচালনা করে অথবা একজন ব্যবস্থাপক নিয়োগ করে।
- অংশীদারি চুক্তি: অংশীদারদের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি থাকে যা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
অংশীদারি ব্যবসার কিছু সুবিধা:
- অতিরিক্ত মূলধন: অনেক অংশীদার থাকায় ব্যবসায়ে বেশি মূলধন জমা হয়।
- দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়: বিভিন্ন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অংশীদার থাকায় ব্যবসা আরও ভালভাবে পরিচালিত হয়।
- দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: অংশীদাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে কারণ তাদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন হয় না।
- ব্যক্তিগত মনোযোগ: অংশীদাররা ব্যবসায় ব্যক্তিগত মনোযোগ দেয়।
অংশীদারি ব্যবসার কিছু অসুবিধা:
- অসম্মতির ঝুঁকি: অংশীদারদের মধ্যে মতবিরোধ হতে পারে যা ব্যবসায় ক্ষতি করতে পারে।
- অসীম দায়িত্ব: অংশীদারদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবসার ঋণের জন্য ঝুঁকিতে থাকে।
- সীমিত নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি অংশীদারের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকে যা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
- মৃত্যু বা অবসর: যদি কোন অংশীদার মারা যায় বা অবসর গ্রহণ করে, তাহলে অংশীদারি ভেঙে যেতে পারে।