হুন্ডি হল একটি প্রাচীন অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আরেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একটি লিখিত নির্দেশ দেয়, যার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই লিখিত নির্দেশটিকেই হুন্ডি বলা হয়।
হুন্ডির বৈশিষ্ট্য:
- প্রাচীন পদ্ধতি: হুন্ডি ব্যবস্থা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- অপ্রাতিষ্ঠানিক: হুন্ডি ব্যবস্থা সাধারণত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে পরিচালিত হয় এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট আইনী কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ থাকে না।
- বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল: হুন্ডি ব্যবস্থা সফলভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হুন্ডি জারিকারী এবং পরিশোধকারী উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস থাকা জরুরি।
- কম খরচে অর্থ স্থানান্তর: ব্যাংকিং ব্যবস্থার তুলনায় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর সাধারণত কম খরচে সম্পন্ন হয়।
- দ্রুত সেবা: হুন্ডি ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়।
হুন্ডির সুবিধা:
- সহজলভ্যতা: হুন্ডি ব্যবস্থা সাধারণত ব্যাংকিং ব্যবস্থার তুলনায় সহজলভ্য।
- কম খরচে অর্থ স্থানান্তর: ব্যাংকিং ব্যবস্থার তুলনায় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর সাধারণত কম খরচে সম্পন্ন হয়।
- দ্রুত সেবা: হুন্ডি ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়।
হুন্ডির অসুবিধা:
- অনিরাপদ: হুন্ডি ব্যবস্থা অনিরাপদ হতে পারে কারণ এটি কোনো আইনী কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ নয়।
- কালো টাকা লেনদেনের মাধ্যম: হুন্ডি ব্যবস্থা কালো টাকা লেনদেনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
- সরকারের রাজস্ব হানি: হুন্ডি ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের ফলে সরকার রাজস্ব হারাতে পারে।
আধুনিক যুগে হুন্ডি:
আধুনিক যুগে ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে হুন্ডি ব্যবস্থার গুরুত্ব কিছুটা কমে গেছে। তবে এখনো অনেক দেশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে হুন্ডি ব্যবস্থা জনপ্রিয়। বিদেশে কর্মরত অনেকেই তাদের আয় দেশে পাঠানোর জন্য হুন্ডির ব্যবহার করেন।